ঢাকা,সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র ও অপরাজনীতির প্রতিবাদে চকরিয়ায় সমাবেশ

বিএনপি-জামায়াত আবারো আগুন-সন্ত্রাস করলে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে -এমপি জাফর আলম

ছোটন কান্তি নাথ, চকরিয়া :: কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ জাফর আলম এমএ বলেছেন, যুদ্ধাপরাধী ও পাকিস্তানীদের দোসর বিএনপি-জামায়াত চক্র আবারও বাংলাদেশকে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাওয়ার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। যার অংশ হিসেবে বিশ্বের ইসলামী রাষ্ট্রগুলোর দুষমন আল জাজিরা নামক আর্ন্তজাতিক একটি গণমাধ্যমে অপপ্রচারের মাধ্যমে দেশের শান্তিকামী জনগণকে বিভ্রান্ত করতে এবং বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে তুলে ধরার অপচেষ্টা করা হয়েছে। যতই অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র করা হউক না কেন এদেশের শান্তিকামী মানুষ অতীতের মতো যুদ্ধাপরাধী, আগুন সন্ত্রাসীদের জোট বিএনপি-জামায়াত চক্রকে বর্জন করবে, তাদেরকে আর সমর্থন করবে না এদেশের মানুষ। তাই ষড়যন্ত্র পরিহার করে উন্নয়ন ও গণমূখী রাজনীতি করার আহবান জানাচ্ছি বিএনপি-জামায়াতকে।
এমপি জাফর আলম আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারাদেশে যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে এবং হচ্ছে তা বিশ্বের পরাক্রমশালী রাষ্ট্রপ্রধানরাও অবাক হয়েছেন। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি অবিচল থেকে তাকে নিয়ে গবেষণাও শুরু করেছেন।
সংসদ সদস্য জাফর আলম বলেন, দেশের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ, দোহাজারী থেকে ঘুনধুম পর্যন্ত রেললাইন, কক্সবাজারে আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর, দেশের প্রতিটি অঞ্চলের অর্থনৈতিক অঞ্চল, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর, মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুত কেন্দ্র, অবিভক্ত চকরিয়ার মগনামায় দেশের প্রথম সাবমেরিন ঘাটি স্থাপনসহ একের পর এক মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত।
বিএনপি-জামায়াতের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র ও অপরাজনীতির বিরুদ্ধে চকরিয়া পৌরশহরের চিরিঙ্গাস্থ কাজী মার্কেট চত্বরে আজ সোমবার বিকেলে পৌরসভা আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম।
পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরী ও প্রচার-প্রকাশনা সম্পাদক আরিফ মঈনুদ্দীন রাসেলের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আমিনুর রশীদ দুলাল, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও পৌরমেয়র আলমগীর চৌধুরী, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ওয়ালিদ মিল্টন প্রমূখ। সমাবেশে দলের উপজেলা, পৌরসভা এবং যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, কৃষকলীগসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে হাজারো সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি জাফর আলম আরো বলেন, আমরা একসময় স্বপ্ন দেখতাম রেলে চড়ে ঢাকা থেকে কক্সবাজার আসবো। আজ সেই স্বপ্ন পূরণ হতে আর বেশি সময় নেই। আগামী ২০২২ সালের ডিসেম্বরেই রেলে চড়ে কক্সবাজারের মানুষ সারাদেশে যাতায়াত করবে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ককে ৬ লেনে রূপান্তর, মাতামুহুরী নদীর ওপর ছয় লেনের সেতুর বাস্তবায়ন, ফাঁসিয়াখালী থেকে মাতারবাড়ি পর্যন্ত চার লেনের মহাসড়ক, চকরিয়ায় বাইপাস মহাসড়কসহ বড় বড় মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছে চকরিয়া-পেকুয়া। অতএব চকরিয়া ও পেকুয়ার মানুষ শেখ হাসিনার উন্নয়নের মহাসড়কে যাত্রা শুরু করেছেন। তারা আর বিএনপি-জামায়াতিদের কোন ষড়যন্ত্রের পাতা ফাঁদে পা দেবে না। এর পরও আন্দোলনের নামে চকরিয়া ও পেকুয়ার রাজপথে যারাই অতীতের মতো পেট্রোল বোমা, আগুন সন্ত্রাস এবং নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করার চেষ্টা করা হবে তা দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে কঠোরভাবে মোকাবেলা করা হবে।
অতীতের চেয়ে চকরিয়া ও পেকুয়ায় দলের শক্তিশালী অবস্থান সৃষ্টি হয়েছে জানিয়ে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম এমপি বলেন, মূল দল আওয়ামী লীগ এবং বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ইস্পাত-কঠিন ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। অতএব এখানে বিএনপি-জামায়াতচক্র যতই আন্দোলনের কর্মসূচীর হাকডাক দিক না কেন, ঐক্যবদ্ধভাবে আগুন-সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড মোকাবেলা করতে প্রতিটি নেতাকর্মী প্রস্তুত রয়েছে।
বিএনপি-জামায়াতকে হুঁশিয়ারী দিয়ে জাফর আলম বলেন, আমি জাফর আলমও এখনো বেঁচে রয়েছি সেটাও মনে রাখবেন বিএনপি-জামায়াতের ভাইয়েরা। কারণ শান্তিপূর্ণ চকরিয়া ও পেকুয়াকে অশান্ত করার চেষ্টা করা হলে কোন আগুন-সন্ত্রাসীর ঠাঁই চকরিয়া-পেকুয়ায় হবে না।

পাঠকের মতামত: